প্রস্টেট অপারেশন কিভাবে করা হয়?
প্রস্টেট অপারেশন সাধারণত প্রস্টেট গ্রন্থির বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য করা হয়। এটি বিশেষভাবে দরকার হয় যখন প্রস্টেট গ্রন্থি অতিরিক্ত বড় হয়ে যায় বা ক্যান্সারের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের প্রস্টেট সার্জারি পদ্ধতি রয়েছে, যা রোগীর অবস্থা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে প্রস্টেট অপারেশন করা হয়।
প্রস্টেট অপারেশনের ধরণ
প্রস্টেট অপারেশনের বেশ
কিছু
পদ্ধতি
রয়েছে,
যার
মধ্যে
উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
১. ট্রান্সইউরেথ্রাল রিসেকশন অব দ্য প্রস্টেট (TURP)
এই
পদ্ধতিটি সবচেয়ে বেশি
ব্যবহৃত হয়।
এতে
ইউরেথ্রার (মূত্রনালি) মাধ্যমে ছোট
ক্যামেরাযুক্ত একটি
বিশেষ
সরঞ্জাম প্রবেশ
করানো
হয়
এবং
অতিরিক্ত টিস্যু
অপসারণ
করা
হয়।
এটি
সাধারণত বড়
কাটার
প্রয়োজন ছাড়াই
করা
হয়।
২. লেজার প্রস্টেট সার্জারি
লেজার
প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রস্টেট গ্রন্থির অতিরিক্ত অংশ
পোড়ানো বা
অপসারণ
করা
হয়।
এটি
তুলনামূলকভাবে কম
রক্তপাত ও
দ্রুত
পুনরুদ্ধারের সুবিধা
দেয়।
৩. ওপেন প্রস্টেটেকটমি
যখন
প্রস্টেট অত্যন্ত বড়
হয়
বা
ক্যান্সারের ঝুঁকি
থাকে,
তখন
ওপেন
সার্জারি করা
হয়।
এতে
পেটের
নিচের
অংশে
একটি
কাটা
দিয়ে
প্রস্টেট গ্রন্থি সরানো
হয়।
এটি
সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার জন্য
প্রয়োজন হয়।
৪. রোবোটিক-সহায়তাযুক্ত ল্যাপারোস্কোপিক প্রস্টেটেকটমি
এই
পদ্ধতিতে রোবোটিক হাতিয়ার ব্যবহার করে
ছোট
ছিদ্রের মাধ্যমে সার্জারি করা
হয়।
এটি
অত্যন্ত উন্নত
প্রযুক্তির পদ্ধতি,
যেখানে
ক্ষত
কম
হয়
এবং
দ্রুত
সুস্থ
হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে।
প্রস্টেট অপারেশনের পর যত্ন
প্রস্টেট অপারেশনের পর
দ্রুত
সুস্থতার জন্য
কিছু
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
মেনে
চলা
উচিত:
- পর্যাপ্ত
বিশ্রাম নেওয়া
- প্রচুর পানি পান করা
- চিকিৎসকের
পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা
- ভারী কাজ এড়িয়ে চলা
- সংক্রমণের
লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
উপসংহার
Comments
Post a Comment