ফিস্টুলা কেন হয়, চিকিৎসা কী?
ফিস্টুলা হলো একটি অস্বাভাবিক সংযোগ বা টানেল, যা শরীরের দুটি অঙ্গ বা গহ্বরের মধ্যে তৈরি হয়। এটি সাধারণত সংক্রমণ বা অস্ত্রোপচারের পর জটিলতার কারণে সৃষ্টি হয়। ফিস্টুলা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় মলদ্বার ও মূত্রনালীতে।
ফিস্টুলার কারণ
ফিস্টুলা হওয়ার
প্রধান
কারণগুলোর মধ্যে
রয়েছে:
- সংক্রমণ: দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ হলে টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফিস্টুলা তৈরি করতে পারে।
- আনাল
অ্যাবসেস: মলদ্বারের
সংক্রমণ বা পুঁজ জমে যাওয়ার ফলে এটি হতে পারে।
- অন্ত্রের
রোগ: ক্রোন্স ডিজিজ বা আলসারেটিভ
কোলাইটিসের মতো অন্ত্রের রোগ ফিস্টুলা সৃষ্টি করতে পারে।
- আঘাত
বা অস্ত্রোপচারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কোনো অস্ত্রোপচারের
পর সঠিকভাবে নিরাময় না হলে ফিস্টুলা হতে পারে।
- টিউমার: কোনো টিউমার যদি আশেপাশের টিস্যুকে আক্রমণ করে, তাহলে ফিস্টুলা তৈরি হতে পারে।
ফিস্টুলার চিকিৎসা
ফিস্টুলার চিকিৎসা নির্ভর
করে
এর
ধরণ
ও
জটিলতার ওপর।
প্রধান
চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো নিম্নরূপ:
১. ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক:
সংক্রমণ থাকলে
চিকিৎসক সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ
প্রদান
করে
থাকেন।
তবে
এটি
ফিস্টুলার স্থায়ী সমাধান
নয়।
২. সিটন থেরাপি:
এটি
একটি
বিশেষ
চিকিৎসা পদ্ধতি,
যেখানে
ফিস্টুলার মধ্যে
বিশেষ
ধরনের
সুতা
রেখে
ধীরে
ধীরে
সংযোগ
বন্ধ
করা
হয়।
৩. সার্জারি (ফিস্টুলোটমি):
এটি
সবচেয়ে সাধারণ
চিকিৎসা পদ্ধতি,
যেখানে
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ফিস্টুলার সংযোগ
কেটে
দেওয়া
হয়।
আরো পড়ুন: ফিস্টুলা অপারেশন খরচ?
৪. লেজার ও আধুনিক চিকিৎসা:
ফিস্টুলা চিকিৎসার জন্য
বর্তমানে লেজার
থেরাপিও ব্যবহার করা
হচ্ছে,
যা
কম
ইনভেসিভ এবং
দ্রুত
নিরাময় হতে
সাহায্য করে।
উপসংহার
ফিস্টুলা একটি
জটিল
কিন্তু
নিরাময়যোগ্য রোগ।
সময়মতো চিকিৎসা নিলে
এটি
সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।
যদি
ফিস্টুলার লক্ষণ
দেখা
যায়,
তবে
দ্রুত
একজন
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া
উচিত।
Comments
Post a Comment